তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর

31 Jan, 2023

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর।

তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর

উত্তর ভূমিকা : কোনো সামাজিক ঘটনাকে বিশ্লেষণের লক্ষ্যে কতিপয় ধারণা, সাধারণীকরণ, বিধি ইত্যাদির অর্থপূর্ণ ও সমন্বিত ব্যবহারকে তত্ত্ব বলে । তত্ত্ব হচ্ছে বৈজ্ঞানিক গবেষণার মূল চালিকাশক্তি ও নির্দেশনা ।

 

আর কোনো অজানা বিষয়কে জানার বা গবেষণা করার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব খবরাদি সংগ্রহ করা যায় সেগুলোকে সাধারণভাবে তথ্য বলে। উভয়েই সামাজিক গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।

তত্ত্ব ও তথ্যের মধ্যকার পার্থক্যসমূহ : কোনো বিষয় সম্পর্কে চিন্তা ও যুক্তিনির্ভর যে বিমূর্ত কল্পনা, অভিমত ও দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হয় তাকে তত্ত্ব বলে। আবার কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংগৃহীত সংখ্যায় প্রকাশিত রাশিমালাকে পরিসংখ্যানের ভাষায় তথ্য বলে।

আবার ব্যাকরণের ভাষায় পরীক্ষা বা তদন্তের দ্বারা প্রকৃত ঘটনা জানার উপাদান হলো তথ্য। তত্ত্ব ও তথ্যের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান ।

নিম্নে তত্ত্ব ও তথ্যের মধ্যকার পার্থক্যসমূহ আলোচনা করা হলো : 

১. সংজ্ঞাগত : সাধারণত কোনো ঘটনার অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক ও তাদের সুবিন্যাসকে তত্ত্ব বলে। অপরদিকে, কোনো ঘটনা সম্পর্কে জানার জন্য সুনিয়ন্ত্রিত অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রাপ্ত খবরাদিকে তথ্য বলে ।

২. প্রকাশিত রূপ : তত্ত্ব ও তথ্যের মধ্যে রূপগত পার্থক্য বিদ্যমান। সাধারণত তত্ত্বের প্রকাশিত রূপ হলো ভাষাগত আর বেশিরভাগ তথ্যের প্রকাশিত রূপ হলো সংখ্যাগত ।

৩. উদ্দেশ্য : তত্ত্বের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রচলিত জ্ঞান সংক্ষিপ্ত করা। এটি ব্যবহারের অর্থই হচ্ছে কোনোকিছু সম্পর্কে বিশেষভাবে ধারণা বা কল্পনা করা । পক্ষান্তরে, তথ্যসংগ্রহের উদ্দেশ্য হচ্ছে সুনির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে সুষ্পস্ট সংখ্যার ধারণা লাভ করা ।

See also  স্বাধীন চলক ও অধীন চলক কাকে বলে

৪. উৎসগত : তত্ত্বের উৎস সরাসরি গবেষণা বা কোনো অতীত গবেষণা। অপরদিকে, তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহের উৎস হলো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয়ই ।

৫. উদ্দীপক : তত্ত্ব থেকে কোনো ধরনের তথ্যের জন্ম হয় না। পক্ষান্তরে, তথ্য নতুন তত্ত্বের জন্ম দিতে পারে । অর্থাৎ তথ্য তত্ত্ব সৃষ্টির উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে ।

৬. অবস্থানগত : সামাজিক গবেষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে গবেষক কোনো তত্ত্ব দাঁড় করান যা পরবর্তী গবেষণায় কিংবা অধ্যয়ন ক্ষেত্রে কাজে লাগে । অপরদিকে, তথ্য গবেষণার কাঁচামাল হিসেবে কাজ করে । অর্থাৎ তথ্যের অবস্থান গবেষণার শুরুতে ।

৭. নির্ভরশীলতা : তত্ত্ব ও তথ্য দুটি অত্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয় হওয়া সত্ত্বেও নির্ভরশীলতার দিক দিয়ে পার্থক্য রয়েছে। তত্ত্ব তথ্যের নির্ভুলতার ওপর নির্ভরশীল কিন্তু তথ্য তত্ত্বের ওপর নির্ভর করে না।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায যে, তত্ত্ব ও তথ্য সামাজিক গবেষণার অন্যতম প্রধান দুটি অনুষঙ্গ। তত্ত্ব ও তথ্যের মধ্যে বহুবিধ পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও একটি অন্যটির ওপর নির্ভরশীল।

 

তথ্য ছাড়া তত্ত্বে পৌঁছানো সম্ভব নয়। কারণ তথ্য হলো গবেষণার কাঁচামালস্বরূপ। তথ্য ছাড়া তত্ত্বের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায়। তাই সামাজিক গবেষণায় উভয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Rk Raihan

আমি আরকে রায়হান। আমাদের টার্গেট হল ইন্টারনেটকে শেখার জায়গা বানানো। আরকে রায়হান বিশ্বাস করেন যে জ্ঞান শুধুমাত্র শেয়ার করার জন্য তাই কেউ যদি প্রযুক্তি সম্পর্কে কিছু জানে এবং শেয়ার করতে চায় তাহলে আরকে রায়হান পরিবার তাকে সর্বদা স্বাগত জানানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Category